আহমেদাবাদের মোতেরা ক্রিকেট স্টেডিয়াম নিয়ে জনৈক প্রাক্তন ক্রিকেটার যিনি বর্তমানে একজন লেখক ও ইতিহাসবিদ আমাদের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে স্টেডিয়ামের স্বনামকরণ নিয়ে একটি মন্তব্য করে টুইট করেছেন। যদিও তিনি প্রধানমন্ত্রীর 'ফ্যান' কিন্তু তিনি বলেছেন যে নেতারা যদি এইরকম ঊপায় অবলম্বন করে তবে সেই দেশের জন্যে এটি শুভ লক্ষণ নয়। তিনি আর কিছুই লেখেননি। ব্যাস এইটুকুই টুইট। তিনি জার্মানির স্টুটগার্টের ফুটবল স্টেডিয়ামের উদাহরণ দেননি। বলে রাখি ওই স্টেডিয়ামটা হিটলারও নিজের নামে রেখে দিয়েছিলেন।
আজকাল কোটি কোটি মানুষের আওয়াজ কেউ শুনতে পায়না। লক্ষ লক্ষ মানুষের নব্বই দিনের অবস্থান আন্দোলনও কেউ দেখতে পায়না কিন্তু কোন কেউকেটার দু'লাইনের টুইট আমাদের দেশে ঝড় তোলে।
ফুস করে টম হল্যান্ড একটা টুইট ছেড়ে দিয়েছে। এবার মাঠে নেমে ভক্তবৃন্দ এই টুইটের গন্ধ তাড়াচ্ছে। চারিদিকে ফতোয়া জারি করতে শুরু করে দিয়েছে। স্পাইডারম্যান বয়কট হোক। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, স্পাইডারম্যানের পেছনে কে আছে! সন্দেহ করা হচ্ছে, স্পাইডারম্যানের সঙ্গে পাকিস্তান যোগ থাকলেই থাকতে পারে। কেউ কেউ আবার ঠাট্টা করে লিখছে, স্পাইডারম্যান কি জেএনইউ প্রোডাক্ট! আপত্তি ঊঠছে, স্পাইডারম্যান কেন দেশের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার নিয়ে মন্তব্য করছে! টুইটার এখন স্পাইডারম্যানের গন্ধে মম করছে।
আসল কথাটা এবার বলি। টম হল্যান্ড নামে দুজন বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব আছেন। দুজনই ইংল্যান্ডের লোক। একজন তো ক্রিকেটার, লেখক ও ইতিহাসবিদ। আগেই এটা বলেছি। আরেকজন টম হল্যান্ড অভিনেতা। তিনিই পর্দায় ফুটে ওঠা স্পাইডারম্যান। হোয়াটসঅ্যাপ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোফেসর গুগল করে প্রথমে যে টম হল্যান্ডকে দেখেছেন তাকেই সারা ভারতে ছড়িয়ে দিয়েছেন। তবে ব্যাপারটা ধামাচাপা পড়ে যাবে। কারণ ব্যাপারটা খুব তাড়াতাড়ি জানাজানি হয়ে গেছে। এখন দেখার ভক্তবৃন্দ ইংল্যান্ডের ক্রিকেট সিরিজ বয়কটের ডাক দেয় কিনা!
আরেকটা টুইট দেখা যাচ্ছে টুইটারে। যেখানে জনৈক টম হল্যান্ড লিখছেন যে তিনি কোনদিন ক্রিকেট খেলেননি। তিনি গলফ খেলেন। কিন্তু পেশাদার গলফার নন। বোঝ ঠ্যালা। টুইটারে যতরকম টম হল্যান্ড নামের লোক আছে সবাইকে ভক্তবৃন্দ অন্ধের মতো আক্রমণ করে ইমেজ খারাপ হওয়া থেকে বাঁচিয়ে দিচ্ছে দেশটাকে। এই না হলে দেশপ্রেম। মেরেছো টুইটের কানা, তা বলে কি প্রেম দেব না!