একবার মসজিদের নামাজ থেকে বেরোনোর পর মোল্লাকে সবাই ঘিরে ধরল। মোল্লাকে গিটার বাজানোর আবদার করে বসল সবাই। মোল্লাও কম যেতেন না। তিনি নিজেই তাঁর গিটার বাজানোর হাতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন। তিনি বললেন, আমার মতো বাজনদার দুনিয়ায় নেই। আমার গিটার শুনে পাথর গলে যেত। আমার গিটার শুনে নদি পথ পালটে ফেলত। আমার গিটার শুনে বাদশাহের ঘুম ভাঙত। লোকেরা মোল্লার এই বড়াইয়েরই অপেক্ষায় ছিল। তারা সবাই মিলে এবার মোল্লার হাতে তাড়াতাড়ি একটা গিটার ধরিয়ে দিয়ে বলল, এবার বাজাও মিঞা।


মোল্লা গিটারটা নিয়ে একটা তারই বাজাতে শুরু করলেন। অনেকক্ষণ ধরে আঙুল দিয়ে একটা তারেই টিপে টিপে বাজাতে থাকলেন। কোন সুর উঠছেনা দেখে উৎসুক একজন মোল্লাকে জিজ্ঞেস করল, একি মোল্লা তুমি একটা তারই নেড়ে যাচ্ছ? যারা গিটার বাজায় তারা সবকটা তারে আঙুল খোঁচায়। তুমি কেন সবকটা তার বাজাচ্ছ না!


মোল্লা গিটার থামিয়ে বললেন, ওই সব গিটার বাজনদারেরা সুর তাল কিছুই জানেনা। তাই তারা তার খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে সুর খোঁজে। আমার ওসব দরকার পড়েনা। আমি যেখানে আঙুল ছোঁইয়াই সেখানেই সুর ওঠে। আমি কেন অন্য তারে গিয়ে বাজাব বলতে পারো?