নাসিরুদ্দিনের বিবি একবার আবদার করলেন যে তাঁর একটা দুধেলা গোরু চাই। দুধেলা গোরু থাকলে রোজ দুধ পনির খোয়া এইসব খাওয়া যাবে। নাসিরুদ্দিন আপত্তি জানিয়ে বললেন, গাধা বেঁধে আমাদের আস্তাবলে আর জায়গা বাঁচেনা যে আরেকটা গোরু রাখব।

কিন্তু বিবি নাছোড়বান্দা। গোরু কিনিয়ে তবে ক্ষান্ত হলেন তিনি। 

গাধার পাশে গোরু বাঁধা শুরু হল আস্তাবলে। গাধাটা্র থাকার জায়গা কমে গেল। তার ওপর গোরুটা মাঝে মাঝে গাধাটাকে গুঁতিয়ে দিত। গাধাটা রাতভোর চেঁচাত। নাসিরুদ্দিন এইসব আগেই ভেবেছিলেন। গোরু কিনতে আপত্তিও করেছিলেন। বিবিজানের গোঁসা ঠান্ডা করতে এই গোরু কিনতে হয়েছে। দিন রাত বিরক্ত হতে হতে একদিন রাতে ঈশ্বরকে স্মরণ করে বললেন, হে সৃষ্টিকর্তা, তুমি এই গোরুটাকে তুলে নাও যাতে আমার গাধাটার থাকার জায়গা আবার আগের মতো হয়ে যায়। 

পরের দিন ঘুম থেকে উঠে মোল্লার বিবিজান আস্তাবল সাফ করতে গিয়ে দেখেন গাধাটা মরে পড়ে আছে। দৌড়ে গিয়ে মোল্লাকে জানালেন। মোল্লা আবার ঈশ্বরকে স্মরণ করে বললেন, হে সৃষ্টিকর্তা, সবই তো তোমার সৃষ্টি তাও তুমি গাধা আর গোরুতে তফাত বুঝতে পারলেনা!