পাকিস্তানের করাচি শহরের রাস্তার ধারে একটা চায়ের দোকানের ছবি এবার খবরের শিরোনামে। পাকিস্তানে ফটোটা ভাইরাল হয়েছে। এবং চাওয়ালা চাচার প্রশংসায় পাকিস্তানিরা টুইট করছে। ফেসবুক করছে। আপনারা গুগল করুন। দেখতে পাবেন। তার কারণ আমাদের অভিনন্দন। উর্দুতে লেখা আছে, "এরকম চা শত্রুকেও বন্ধু বানায়।" এইসব দেখে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষকে ভালবাসতে ইচ্ছে করে বইকি।

যদি আমাদের দেশে কোন পাকিস্তানি সৈন্যকে নিয়ে এরকম বিজ্ঞাপন দেওয়া হত তাহলে কি হত? তাহলে দোকানটা আস্ত থাকতনা। দোকানদারও মব লিঞ্চিং-এর শিকার হতেন। দেশদ্রোহিতার দায়ে হয়তো বাড়িঘর ভেঙে চুরমার করে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে খাক করে দেওয়া হত। যদিও যারা এসব করত তাদের পুলিশ হয়তো গ্রেফতার করত। কিন্তু জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার ক্ষণে অনেক নেতা তাদের জন্যে ফুলের মালা আর মিষ্টি হাতে জেল গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকত। অবশ্যই ভারত মাতা কি জ্যায় ধ্বনি তুলে আকাশ পাতাল একাকার করে দিত। 
যদি এমন হত, অবশ্যই বহু মানুষ এর বিরোধিতা করতেন। এবং সুযোগ বুঝে বেশ কয়েকটা টিভি চ্যানেল নিজেদের প্যানেলে এই নিয়ে তিনদিন আলোচনা চালাত। দেশপ্রেমিক কারা আর দেশদ্রোহী কারা তাই নিয়ে রাষ্ট্রবাদী মিডিয়াগুলো চুলচেরা বিশ্লেষণ করত। হইচই চেঁচামিচি করত। শেষে 'টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং'-এর ওপর দোষ চাপিয়ে আমাদের দেশজ চাওয়ালাদের খুশি রাখত।