মোল্লা একবার তার এক নতুন বন্ধুকে আকশেহর ঘুরে যেতে নেমন্তন্ন করলেন। বন্ধু এসে হাজির। মোল্লা তাঁর বন্ধুর সঙ্গে শহরের লোকজনদের পরিচয় করাবেন বলে সেজেগুজে পাগড়ি পরে বন্ধুকে নিয়ে বের হলেন।

“চলো,” নাসিরুদ্দিন বললেন, “আজ আমার কিছু পরিচিত বন্ধুর সঙ্গে তোমার তোমার পরিচয় করিয়ে দিই।”

বন্ধু বলল, “ঠিক আছে চলো। কিন্তু তোমার মতো একটা পাগড়ি আমাকেও দাও। আমিও তোমার মতো পাগড়ি পরব।”

বন্ধুর বায়না থামাতে মোল্লা তাঁর একমাত্র পাগড়ি বন্ধুর মাথায় চাপিয়ে দিয়ে বন্ধুর সঙ্গে বেরিয়ে অন্য আরেক বন্ধুর বাড়িতে গেলেন। বন্ধুর সঙ্গে বন্ধুর পরিচয় করাতে গিয়ে মোল্লা বললেন, “ইনি হলেন বদরুদ্দিন হোজা। ইনি পাশের শহরে থাকেন। ইন্তি আমার বাড়িতে এসেছেন ঘুরতে। ইনি যে পাগড়িটা পরে আছেন সেটা আমার।” 

বদুরুদ্দিন যারপরনাই বিরক্ত হল। বন্ধুর বাড়ি থেকে রাস্তায় বেরিয়ে বদুরুদ্দিন বলল, “তুমি কেন বললে যে পাগড়িটা তোমার? এরপর থেকে আর তুমি দয়া করে পাগড়িটা যে তোমার সেটা বলো না।”

কিঞ্ছুক্ষণ পরে অন্য আরেক বন্ধুর বাড়ি মোল্লা তাঁর নতুন বন্ধুকে নিয়ে হাজির। বন্ধুর সঙ্গে পরিচয় করাতে গিয়ে মোল্লা বললেন, ““ইনি হলেন বদরুদ্দিন হোজা। ইনি পাশের শহরে থাকেন। ইন্তি আমার বাড়িতে এসেছেন ঘুরতে। ইনি যে পাগড়িটা পরে আছেন সেটা কিন্তু আমার না।”

যথারীতি, বন্ধুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে মোল্লার নতুন বন্ধু বদুরুদ্দিন এবার খুবই বিরক্ত হয়ে বললেন, “মোল্লা, তুমি কথায় কথায় খালি পাগড়ি টানছো কেন! এই কথাটা কি বলার খুবই প্রয়োজন ছিল যে পাগড়িটা কার? দয়া করে এইসব বলো না।”

কিছুক্ষণ পর মোল্লা আরেক বন্ধুর বাড়িতে ঢুকলেন তাঁর নতুন বন্ধুর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে। মোল্লা বললেন, ““ইনি হলেন বদরুদ্দিন হোজা। ইনি পাশের শহরে থাকেন। ইন্তি আমার বাড়িতে এসেছেন ঘুরতে। আর পাগড়িটা যে কার সে বিষয়ে আমার কিছুই বলার নেই। পাগড়িটা যারই হোক এ বিষয়ে আমি কিছু বলছিনা।”