প্রণব মুখার্জি পত্রদ্বারা প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করিয়াছেন যে ২-জি স্পেক্ট্রাম কেলেঙ্কারি জন্য শ্রীমান চিদম্বরমও দায়ী। প্রণববাবু যদিও শ্রীমান চিদম্বরম মহাশয়কে যথেষ্ট সম্মান জানাইয়া বলিয়াছেন যে উক্ত কেলেঙ্কারিটি তখনকার অর্থমন্ত্রী শ্রীমান চিদম্বরম মহাশয় চাইলেই থামাইয়া দিতে পারিতেন। অর্থাৎ প্রণববাবু সর্ববিদিত করিলেন যে কংগ্রেস যদি ইচ্ছা করিত তবে ওই পর্বতসম অর্থের অপচয় কিংবা আত্মস্মাত করিবার ইচ্ছা হইতে বিরত থাকিতে পারিত।

“তবে ইহাকে শ্রীমান ‘ছিদম্বরম’ মহাশয়ের ইচ্ছাশক্তির অভাব ভাবিলে ভুল হইবে। শ্রীমান প্রণব মুখার্জি ও শ্রীমান ‘ছিদম্বরম’ মহাশয়ের যৌথ উদ্যোগেই প্রণববাবুর বক্তব্য প্রকাশ পাইয়াছে। অন্যথা শ্রীমান প্রধানমন্ত্রী মহাশয়ের নিষ্কলুষ ভাবমূর্তি রক্ষা হইবে কেমন করিয়া? প্রধানমন্ত্রী মহাশয়ের এবং সর্বোপরি কংগ্রেস পার্টির ভাবমূর্তির উপর কালিমা লেপন না হইতে দেওয়ার নিমিত্ত পারিষদবর্গ আত্মকলহে লিপ্ত থাকিলে প্রজাবর্গও কলহ শ্রবণ ও দর্শন করিয়া কালযাপন করিবে এবং দুর্নীতিপরায়ণ গোষ্ঠীটি মহাসুখে রাজসুখভোগ সম্পন্ন করিতে পারিবে।“ এই বলিয়া হুতুম পন্ডিত লোকসভা ভবনের সুউচ্চ গম্বুজ হইতে ফুরুত করিয়া উড়িয়া মহাকাশে বিলীন হইয়া গেলেন।